খালেদ হোসেন, গাইবান্ধা থেকে
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামকে বাঙালী নদীর ভাঙন হতে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করে ওই গ্রামের দুই শতাধীক মানুষ।
রামনগর গ্রামের প্রভাষক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন রামনগর নদীভাঙন রক্ষা কমিটির আহবায়ক মো. আবদুল মওলা, সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান, সাঘাটা উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক যজ্ঞেশ্বর চন্দ্র বর্মন, শিক্ষক মজিবর রহমান, পল্লী চিকিৎসক লিয়াকত আলী খন্দকার ও কলেজছাত্র আশিকুর রহমান প্রমুখ।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, কয়েক যুগ ধরে নদীভাঙনের শিকার হয়ে সাঘাটার রামনগর গ্রামটি প্রায় বিলীনের পথে। ইতোমধ্যে ওই গ্রামের কয়েক’শ পরিবার নদীভাঙনের শিকার হয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। তারা খোলা আকাশের নিচে ও অন্যের পতিত জমিতে আশ্রয় নিয়ে দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছে। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ড কখনো নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষার জন্য কোন পদক্ষেপই নেয়নি। আর তাই নদীশাসন করে এই গ্রামকে রক্ষার জন্য ¯’ায়ীভাবে সিসি নির্মাণ করতে হবে। সেইসাথে বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য এই নদীতে একটি বাঁধ নির্মাণেরও দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে গ্রামবাসী গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, অনুন্নয়ন রাজস্ব খাতে একটি প্রকল্পে রামনগর গ্রাম রক্ষার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা বরাদ্দ পাওয়া গেলে আগামী বর্ষার আগেই কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, জরুরীভাবে কাজ করার কোন উপায় নেই। কেননা বরাদ্দ সেপ্টেম্বর মাসেই শেষ হয়ে গেছে। এখন নদীভাঙন নেই বলেও জানান মো. মোখলেছুর রহমান।
নির্মাণ করতে হবে। সেইসাথে বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য এই নদীতে একটি বাঁধ নির্মাণেরও দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে গ্রামবাসী গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, অনুন্নয়ন রাজস্ব খাতে একটি প্রকল্পে রামনগর গ্রাম রক্ষার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা বরাদ্দ পাওয়া গেলে আগামী বর্ষার আগেই কাজ শুরু করা হবে। এছাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, জরুরীভাবে কাজ করার কোন উপায় নেই। কেননা বরাদ্দ সেপ্টেম্বর মাসেই শেষ হয়ে গেছে। এখন নদীভাঙন নেই বলেও জানান মো. মোখলেছুর রহমান।